আবারও চোটের কালো থাবা পড়েছে নেইমারের ওপর। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় পা মচকে যায় তার। এই চোটের কারণে গ্রুপ পর্বে তার আর মাঠে নামার তেমন সম্ভাবনা নেই। শঙ্কা আছে বিশ্বকাপের বাকি অংশ নিয়েও!
যত তারকাই দলে থাকুক না কেন, নেইমারই ব্রাজিলের প্রাণভোমরা।
তার চোট নিয়ে দল তাই উদ্বিগ্ন। তবে নেইমারের এই চোট কতটা ছুঁয়ে গেছে দেশটির সমর্থকদের? ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার কথা শুনলে মনে হবে, নেইমারের চোটে কষ্টের চেয়ে বরং আনন্দই যেন বেশি পেয়েছে ব্রাজিলিয়ানরা। তার কথার সুর ধরলে বোঝা যায়, নেইমারের চোটে সহানুভূতির বদলে ব্রাজিলিয়ানরা উল্লাসে মেতেছেন। যে কারণে নিজ দেশের মানুষদের তীব্র কটাক্ষ করেছেন বার্সেলোনায় খেলা এই ফরোয়ার্ড।
দেশের ফুটবল সমর্থকদের ধুয়ে দিতে লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতি তাদের দেশের মানুষের ভালোবাসার উদাহরণ টেনেছেন রাফিনিয়া। এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই ফরোয়ার্ড লেখেন, ‘আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা মেসিকে ঈশ্বর মনে করে, পর্তুগাল সমর্থকেরা রোনালদোকে মনে করে রাজা। আর ব্রাজিলের সমর্থকেরা নেইমারের পা ভাঙার জন্য উল্লাস করে। কী দুঃখজনক ব্যাপার। ’
এখানেই শেষ নয়। নেইমারকে দুর্ভাগা মনে করেন রাফিনিয়া। ব্রাজিল তার মতো ফুটবলার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না বলেও ওই পোস্টে লেখেন রাফিনিয়া, ‘নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান হয়ে জন্ম নেওয়া। এই দেশ তার প্রতিভা এবং ফুটবলের জন্য যোগ্য নয়। ’
ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলের পর সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের মালিক নেইমার। ৯২ ম্যাচ খেলা পেলের গোল ৭৭টি। ১২২ ম্যাচে ৭৫ গোল নিয়ে তাকে টপকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তেই আছেন নেইমার। তবে কাতার আদৌ সেটা সম্ভব হবে কি-না, তা বলে দিবে তার চোটের ধরন।
‘জি’ গ্রুপে পরের ম্যাচে সোমবার সুইজারল্যান্ড ম্যাচ তো মিস করবেনই, ক্যামেরুনের বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়েও শঙ্কা আছে। ডান পায়ের গোড়ালির চোটে তাকে ঠিক কত দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে, সেটিও এখনো স্পষ্ট নয়।